আবারও ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এবার তিনি অভিনয় করেছেন এক ডাকাতের চরিত্রে। যার হাতে নিরীহ অনেক মানুষের রক্ত। এক গডফাদার রাজনীতিবিদকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে করে একের পর এক খুন করেছেন।একসময় তার বোধোদয় হয় তার নববধূ স্ত্রীর কথায়। সিদ্ধান্ত নেন এ পথ ছেড়ে দেবেন। নতুন পেশার আগ্রহ দেখান রাজা মাস্তান। কিন্তু যে গডফাদার রাজনীতিবিদের হাতিয়ার তিনি সেই রাজনীতিবিদ তাকে হাতছাড়া করতে চান না।
রাজা মাস্তানের স্ত্রীকে খুন করান তিনি। কিন্তু রাজা বিষয়টি বুঝতে পারে না, সে সরল মনে আগের মতই ওই রাজনীতিবিদকে ‘বাজান’ বা বাবার মর্যাদার আসনেই তাকে শ্রদ্ধা করেন। তার কথায় খুন, অপহরণ সব করেন। কিন্তু একদিন ঘটনা চক্রে এক চেয়ারম্যানের মেয়েকে (নাদিয়া) অপহরণ করেন। এরপরই পাল্টে যেতে থাকে চিত্রপট।
টেলিফিল্মটির নামও রাখা হয়েছে ‘রাজা মাস্তান’। মাসুদ আল জাবেরের রচনা ও পরিচালনায় এর শুটিং সম্পন্ন হয়েছে গাজীপুরের শালনাতে।
পরিচালক মাসুদ আল জাবের সাংবাদিকদের বলেন, ‘দর্শক নতুন ও ভালো কিছু দেখবেন—এমনটাই আমার প্রত্যাশা। আর আমাদের গল্পটিও সে রকমই। একেবারে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বাংলা নাটকের জাঁদরেল অভিনেতা মোশাররফ করিমকে।’
গল্পে মোশাররফ করিমের বিপরীত চরিত্রে রয়েছেন সালহা খানম নাদিয়া।এতে আরও অভিনয় করেছেন আব্দুল্লাহ রানা, শাহজাহান কবির, সামিয়া মিতু, সুজন খান, দিলীপ গোমেজ, আফজাল মজুমদার, এইচ এম নূর, আলী পারভেজসহ অনেকে।
টেলিফিল্মটি ইউটিউবে প্রচারের প্রথম দুই দিনেই ৫ লাখেরও বেশি দর্শক দেখেছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি টেলিফিল্মটি মাছরাঙা টিভিতে সম্প্রচার হয়। এর পরদিন এটি প্রকাশিত হয় ডেডলাইন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে। টেলিফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন ফাহিম ইসলাম।